ইন্দুরকানীতে একই প্রাঙ্গণে ঐতিহ্যবাহী মাহফিল ও দুর্গামন্দিরসহ পূজা-পার্বণ,ধর্মীয় সম্প্রীতির উদাহরণ
তাওসিফ এন আকবর: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে একই প্রাঙ্গণে ৩০ বছর ধরে বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় ৮বা ১০ দিনব্যাপী আয়োজিত হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী তাফসিরুল কুরআন মাহফিল। সেই একই মাঠ লাগোয়া “ঘোষেরহাট বাজার করুণাময়ী শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির” এর অবস্থান।
২৩ নং ঘোষেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের সাথে অবস্থিত এই মন্দিরের সকল বৃহৎ পূজা-পার্বণের আয়োজনও নির্দিষ্ট সময়ে হয়ে থাকে একই মাঠে। বুধবার সরেজমিনে গিয়ে বিরল এমন ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ দেখা যায় উপজেলার ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়নের ঘোষেরহাট বাজারের ২৩ নং ঘোষেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।স্থানীয়রা জানান অত্র অঞ্চলের তো বটেই সারা বাংলাদেশেই এরকম উদাহরণ খুব কম দেখা যায়।
বিষয়টি এই অঞ্চলের উভয় ধর্মের অনুসারীদের মধ্যকার ভ্রাতৃত্বেরও প্রমাণ বহন করে। এমনকি মাঠটিতে স্থানীয় বাজারের দিনগুলোতে কাঁচামালের বণিকগণ পসরা সাজিয়ে বসেন। এছাড়াও এই মাঠের একদম সন্নিকটেই রয়েছে ঘোষেরহাট বাজার জামে মসজিদ।
মাহফিলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দীর্ঘসময় ধরে মাহফিল আয়োজক কমিটির সভাপতি ছিলেন মাওলানা আব্দুল মান্নান ; তিনি জানান, এই মাহফিলে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইয়েরাও আর্থিক ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে কায়িকভাবেও সাহায্য করে।পাশাপাশি শ্রোতা হিসেবেও তাদের মধ্যে অনেকে উপস্থিত থাকেন।উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে কখনো সম্পর্কের অবনতি ঘটেনি।তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও আমরা সহযোগিতা করি পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিতেও সহযোগিতা করি।
মন্দিরটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সজল হালদার মিন্টু জানান,আমরা এখানে মিলেমিশে শান্তিপ্রিয়ভাবে আছি।মুসলিম সম্প্রদায়ের ভাইয়েরাও আমাদেরকে সকল সময়ে যথেষ্ট সহযোগিতা করেন।আমরাও তাদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করি। আযানের সময়,পূজার সময় বিবেচনায় নিয়ে আমরা উভয় সম্প্রদায় সমন্বয় করে নিজেদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনা করি।