ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার; চন্ডিপুরের ডাঃ আমিন-উল ইসলাম
তাওসিফ এন আকবর
Journalist & Fact-checker
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার “ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের” আবাসিক মেডিকেল অফিসার ইন্দুরকানীর সন্তান ডাঃ আমিন উল ইসলাম।উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চন্ডিপুর গ্রামের মৃত হেমায়েত উদ্দিন পঞ্চাইত ও গৃহিণী হেলালী বেগম দম্পতির ৬ সন্তানের মধ্যে ৫ম তিনি।
ডাঃ আমিন উল ইসলাম এর শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি মায়ের কাছেই।প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন কলারন-চন্ডিপুর আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালইয়ে।ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন কলারন-চন্ডিপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ২০০৩ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে থেকে এস.এস.সি পাশ করেন,এসময়ে তিনি তার পরীক্ষা কেন্দ্রে ২য় স্থান অর্জনসহ বোর্ড কর্তৃক স্কলারশিপও পান।এরপরে ২০০৫ সালে কৃতিত্বের সাথে যশোর বোর্ডে স্কলারশিপসহ এইচ.এস.সি তে উত্তীর্ণ হন খুলনা পাবলিক কলেজ থেকে।পরবর্তীতে তিনি ভর্তিযুদ্ধেও নিজের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন।খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষায় নির্বাচিত হন।অবশেষে জাতীয় মেধায় ২০০৫-২০০৬ সেশনে ৯৭৫ তম মেধাতালিকায় নির্বাচিত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন এবং ২০১১ সালের জুলাই মাসে এম.বি.বি.এস ডিগ্রী অর্জন করেন।
এর পরবর্তীতে ২০১৩ সালে ৩৩ তম বিসিএস এ স্বাস্থ্য ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ইন্দুরকানীর সন্তান ডাঃ আমিন উল ইসলাম, পাশপাশি নিয়োগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মি মেডিকেল কোরে কমিশন অফিসার (ক্যাপ্টেন) হিসেবেও।সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে একই সালের জুলাই মাসে যোগদান করেন সেনাবাহিনীর আর্মি মেডিকেল কোরে ক্যাপ্টেনের চাকুরিতে।সেখানে কাজের একপর্যায়ে এই ক্ষেত্র থেকে উচ্চশিক্ষার সীমাবদ্ধতার কারণে মেজর র্যাংক পাওয়ার পূর্বেই সেখান থেকে চলে আসেন।পুনরায় ৩৯ তম বিসিএস এ উত্তীর্ণ হয়ে স্বাস্থ্য ক্যাডারের চাকুরিতে যোগদান করেন।
যেই উচ্চশিক্ষার জন্য সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেনের চাকুরি ছেড়েছেন সেই উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ডাঃ আমিন উল ইসলাম বারডেম একাডেমী থেকে ডায়বেটিসের উপর সি.সি.ডি কোর্স করেছেন।এছাড়াও বর্তমানে তিনি চাকুরির পাশাপাশি “বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান এন্ড সার্জন” এ এফ.সি.পি.এস (মেডিসিন)বিভাগে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটির অধীনে বারডেম একাডেমীতে এম. ডি (গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি) কোর্সে অধ্যয়নরত আছেন।
কর্মজীবনে তিনি নিজ উপজেলা পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর “ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের” আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।গতবছর যখন সারাদেশে করোনা মহামারি অতিমাত্রায় প্রভাব ফেলেছিল তখন কোভিড ব্যবস্থাপনায় অগ্রদূত (স্বাস্থ্যসেবার কর্মী) হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
হয়ত মহাসাগরের অতল আবিষ্কারের জন্যই যার জন্ম, তিনি কি থামতে পারেন এতটুকুতেই? এক আলাপচারিতায় জানালেন তার স্বপ্নের কথা; বর্তমান কর্মস্থলের মেয়াদকাল শেষ হলেই নতুন এক শিক্ষার (মেডিকেল এর উচ্চশিক্ষা) জন্য ছুটবেন তিনি।মা-বাবার স্বপ্ন ছিল তাদের ছেলে ডাক্তারে হবে,তাই মেডিকেলে শিক্ষাগ্রহণ ও কর্মক্ষেত্রে পরিবার থেকে সাপোর্টও পেয়েছেন শতভাগ।
ব্যক্তিজীবনে সফল এই চিকিৎসক বিশ্বাস করেন “জীবনে চলার পথে বাঁধা আসবে এবং তা মেনেই সামনে চলতে হবে।দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, পরিশ্রমী ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা থাকলে কোন বাঁধাই বাঁধা নয়।
“তিনি আরও বলেন
“ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে পরিশ্রম করলেই সফলতা পাওয়া যায়।এমনকি কখনও কখনও মেধা এক্ষেত্রে প্রধান্যও পায়না ।”
দোয়া ও শুভকামনা থাকবে