ঘূর্ণিঝড় রেমালে পিরোজপুরের গরুর খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত, প্রভাব পড়বে কুরবানির বাজারে
ঘূর্ণিঝড় রিমালে দক্ষিণাঞ্চলে উপকূলীয় উপজেলা পিরোজপুরের কাউখালীতে, মুরগির খামার, গবাদিপশু, মৎস্য ও কৃষি খাতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, মৎস্যজীবী,খামারি, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক উদ্যোক্তা বিভিন্ন দপ্তরে, জনপ্রতিনিধির কাছে ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা নিয়ে ধরনা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে দৈনিক কালবেলার একটি প্রতিবেদন।
ঘূর্ণিঝড় রেমালে পিরোজপুরের গরুর খামারিরাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নিজেদের খামারের গরু নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে কিছুক্ষেত্রে পুরোপুরি সফল হননি অনেক খামারিরা। স্থানান্তরের ফলে অনেক গরু আহত হয়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় পশুখাদ্যের অপর্যাপ্ততাও ছিলো। একইসাথে পরিবহন সমস্যার কারণে উচ্চমূল্যে খাবার সামগ্রী কিনতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এর প্রভাব পড়বে কুরবানির বাজারেও।
এরকম বিদ্যুৎহীন দিনে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রক্ষায় প্রয়োজন পাওয়ার ব্যাংক।
আকর্ষণীয় এই পাওয়ার ব্যাংকটি সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে পারবেন নিচের লিংকে ক্লিক করে।
গত ২৭ মে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালে উপকূলীয় এলাকার ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে, আর আংশিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার ঘরবাড়ি। পরবর্তীসময়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৮ জনের মৃত্যুর খবর। ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জাগোনিউজ২৪।
গণমাধ্যমটি তাদের প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করেছে, কৃষি বিভাগের সামগ্রিক কৃষির ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে শুধু উপকূলীয় বরিশাল অঞ্চলেই ৫০৮ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় এক লাখ ৭৩ হাজার ৪৯১ জন কৃষক। প্রাথমিকভাবে ৪৮টি জেলার কৃষিতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব পড়েছে। উল্লেখযোগ্য হারে আক্রান্ত হয়েছে উপকূলীয় বরিশাল অঞ্চলের ছয় জেলা এবং খুলনা অঞ্চলের চারটি জেলা, চট্টগ্রাম অঞ্চলের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার।
দৈনিক সমকাল তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ৭০২ কোটি ৮২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে এসময়ে। বিস্তারিত অংশে তারা উল্লেখ করে, মৎস্যসম্পদ খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার। উপকূলীয় ১৩ জেলার প্রায় ৪১ হাজার মাছের ঘের, ২৬ হাজার ৩০০ পুকুর এবং চার হাজার কাঁকড়ার ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
[ফিচার ইমেজ: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তিতে তৈরি]