মিথ্যাঃ ভিডিওটি ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনিদের নির্যাতনের নয়
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও সাম্প্রতিক সময়ে ছড়িয়ে পড়েছে।ভিডিওটিকে দাবি করা হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক ফিলস্তিনি বন্দীদের উপর নির্যাতনের ভিডিও হিসেবে।
স্ক্রিনশট দেখুন নিচেঃ
আরও একটি স্ক্রিনশট দেখুনঃ
ফেসবুকে ভিডিওগুলি দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। অথবা সরাসরি ক্লিক করতে পারেন t.ly/nyLw & t.ly/nqIn & t.ly/5o9w
ফ্যাক্টচেকঃ অনুসন্ধানে দেখা গেছে ভিডিওটি বন্দীদের উপর নির্যাতনের ভিডিও নয় বরং আত্মসমর্পনের ভিডিও।
রিভার্স ইমেজ সার্পচ দ্ধতি ব্যবহার করে দেখা যায় ভিডিওটি মূলত ২০০৬ সালের ১৪ ই মার্চের, ফিলিস্তিনের জেরিকো জেলখানায় কয়েকজন মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত আসামিকে ফেরত দেয়ার দাবিতে ইসরায়েল এর অভিযানকালে; ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন (জেলের বাসিন্দাসহ) যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পরাজয়ের পরে তারা (ফিলিস্তিনি জেলের বাসিন্দারা ) আত্মসমর্পণ করেছে, এবং ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের গাড়িতে উঠার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
মূল ভিডিওটিসংবাদ সংস্থা এসোসিয়েট প্রেস(এপি) এর।ইউটিউবে তাদের আর্কাইভ ভিডিওর চ্যানেলে মূল ভিডিওটির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।সেখানে ভিডিওটির ডেসক্রিপশন বক্সে তারিখসহ ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করা আছে।
এপির ভিডিওটি দেখুন এখানে।আর ভিডিওটির ডেসক্রিপশন এর স্ক্রিনশট দেখুন নিচেঃ
অনলাইনে এই সংক্রান্ত নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি খবরের লিংক পাওয়া যায়। দেখুন নিচেঃ
এই ঘটনা নিয়ে উইকিপিডিয়ার নিবন্ধের স্ক্রিনশট দেখুন নিচেঃ
একই ঘটনার উইকিপিডিয়া নিবন্ধটি দেখুন নিচেঃ
মূলত, ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) দ্বারা ১৪ মার্চ, ২০০৬-এ জেরিকোতে একটি ফিলিস্তিনি কারাগারে অভিযান চালানো হয়েছিল। কারাগারে ইসরায়েলের কাঙ্খিত বেশ কয়েকজন বন্দীকে রাখা হয়েছিল। ২০০৬ সালের প্রথম দিকে, নবনির্বাচিত হামাস সরকার ঘোষণা করেছিল যে তারা বন্দীদের মুক্তি দিতে চায়। ১৪ মার্চ, আইডিএফ কারাগারে অভিযান চালায়। বন্দিরা যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং দশ ঘণ্টা অবরোধের পর আত্মসমর্পণ করে এবং গ্রেপ্তার করা হয়।
ফ্যাক্টচেক ফলাফলঃ ভিডিওটি ফিলিস্তিনিবন্দীদের উপর ইসরায়েলী বাহিনীর নির্যাতনের ভিডিও নয়। বরং এটি ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স কর্তৃক ফিলিস্তিনের জেরিকো জেলে পরিচালিত অভিযানে জেলের বাসিন্দাদের যুদ্ধে পরাজয়ের পর আত্মসমর্পণের ভিডিও।