ইন্দুরকানীর ডাব যাচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশে
তাওসিফ এন আকবরঃ পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর ডাব যাচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশে।লকডাউন থাকা সত্ত্বেও সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে উষ্ণতম এই সময়টাতে ডাবের চাহিদা বেড়েছে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি।
গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড রোদ্দুরে যেন কাঠও ফেটে যায়। সবাই অস্থির হয়ে যাচ্ছে তীব্র গরমে। শরীর ঘেমে দুর্বল এবং তৃষ্ণার্ত হওয়ায় শরীরে দেখা দেয় পানি স্বল্পতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য। এ থেকে বাঁচতে সবারই প্রিয় ডাবের পানি। এ সময় ১ গ্লাস ডাবের পানি পান করলে পানি স্বল্পতা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করে শরীরকে শীতল করে।
ডাব বা নারিকেলের ১২ মাসই ফলন হয়। তবে গ্রীষ্মকালে এর ফলনের পরিমাণ বেশি হওয়ায় বাজারে সরবরাহও বেশি দেখা যায়।
বিভিন্ন সময় চিকিৎসকদেরও পরামর্শ থাকে, জ্বর অথবা প্রাথমিক পর্যায়ের কোনো অসুখ হলে মৌসুমী ফল খেতে। তাহলেই অসুখ কমে যায়। তীব্র গরমে পানি শুন্যতার কারণে ডায়রিয়া বা কলেরা রোগ দেখা দিলে ডাবের পানির জুড়ি নেই।
নারিকেল গাছ লাগানোর পরে প্রতিবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গাছের গোড়ায় সামান্য কাদা মাটি ও সার দিলে ভালো ফলন হয়। এছাড়া তেমন কোন যত্ন নেয়ার প্রয়োজন হয় না বলেও জানান তিনি।
ইন্দুরকানীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুচরা ক্রেতা মো. শহিদুল বলেন, আমরা ডাবের আকার অনুযায়ী ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে প্রতিটি ডাব ক্রয় করি। গাছে ওঠা ও সরবরাহের পরিশ্রম নিয়ে ৪৫ টাকা করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করি। পাইকাররা আমাদের কাছ থেকে ডাব কিনে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাইকারি ক্রেতা বলেন, খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে ৪৫ টাকা দরে ক্রয় করে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় বড় শহরের মোকামে পৌছে দেয়া পর্যন্ত বহন খরচ পথে পথে বিভিন্ন ধরনের রোড খরচ দিয়ে প্রতিটি ডাবে ৫০ টাকারও বেশি খরচ পড়ে। আমাদের কাছ থেকে আবার খুচরা বিক্রেতারা ৫৫টাকা দরে কিনে নিয়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে প্রতিটি ডাব বিক্রি করে।
প্রান্তিক পর্যায়ের নারিকেল চাষিদের কাছ থেকে মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত হয়ে ক্রেতা পর্যন্ত পৌঁছতে দাম অনেক হলেও মূলত প্রকৃত চাষিরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ চাষিদের।
আংশিক কৃতজ্ঞতা
জাগোনিউজ