
তাওসিফ এন আকবর
JoUrnalist
রাজধানী ঢাকার শ্যামলী নার্সিং কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামের দেবান্তি মন্ডল তিশা।হরশীৎ মন্ডল ও গীতা রাণী হালদার দম্পতির ৩ কন্যা সন্তানের মধ্যে তিনিই প্রথম।
পিতার চাকুরির সুবাদে তিশার শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি হয় রাজধানী ঢাকার কেরাণীগঞ্জ এর স্থানীয় প্রি ক্যাডেট কিন্ডারগার্টেনে।একসময় পিতার অসুস্থতাজনিত কারণে তার পরিবার বরিশালে চলে আসে এবং তিনি সেখানকার অক্সফোর্ড মিশন স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি হন।অসুস্থতার মাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় পরবর্তীতে পুরো পরিবার চলে আসে তাদের বর্তমান গ্রাম (পিরোজপুরের স্বরুপকাঠীর আটঘর-কুড়িয়ানায়)এবং তিনি একই গ্রামের কুড়িয়ানা বালিকা বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন।পরবর্তীতে সেখান থেকেই এস.এস.সি পাশ করেন তিনি।এরপর ২০১৪ সালে কৃতিত্বের সাথে এইচ.এস.সি তে উত্তীর্ণ হন স্থানীয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ডিগ্রী কলেজ থেকে।২০১৪-১৫ সেশনে বাংলাদেশের বিখ্যাত সমাজসেবক, জমিদার ও দানবীর ব্যক্তিত্ব রণদাপ্রসাদ সাহা প্রতিষ্ঠিত টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বিখ্যাত কুমুদিনী নার্সিং কলেজ ত্থেকে বি.এস.সি ইন নার্সিং কোর্স সম্পন্ন করেন।
বর্তমানে তিনি চাকুরির পাশাপাশি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স ইন পাবলিক হেলথ এ অধ্যয়নরত আছেন।
কর্মজীবনে শমরিতা হাসপাতালের ডায়ালাইসিস ইউনিটে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে প্রথম চাকুরি শুরু করেন।খন্ডকালীন সময় কাজ করেছেন রাজধানীর সুপরিচি্ত আনোয়ার খান মডার্ণ কলেজেও।লেকচারার হিসেবে সেবা দিয়েছেন রাজধানীর আরও এক সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান ট্রমা নার্সিং ইনস্টিটিউটে।গতবছর যখন সারাদেশে করোনা মহামারি অতিমাত্রায় প্রভাব ফেলেছিল তখন কোভিড ব্যবস্থাপনায় অগ্রদূত (স্বাস্থ্যসেবার কর্মী-নার্স) হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পরিচালিত জাতিসংঘের “ইউ.এন.এফ.পি.এ” সংস্থার হয়ে সেবা দিয়ে।সম্প্রতি (২০২১ সালে) দেবন্তী মন্ডল তিশা ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগদান করেন রাজধানীর শ্যামলী নার্সিং কলেজে।বর্তমানে তিনি সেখানেই কর্মরত আছেন।
যদিও বর্তমানে তিশার বাবা স্থায়ীভাবে বসবাস করেন পিরোজপুরের স্বরুপকাঠীর আটঘর-কুড়িয়ানা গ্রামে।ইন্দুরকানীতে তার পৈতৃক নিবাস।
ব্যক্তিজীবনে সফল এই নারী বিশ্বাস করেন যতই বাঁধা আসুক লক্ষ্যে অটুট থাকলে সফলতা আসবেই।একজন মেয়ে হিসেবে সফলতার পথে সামাজিক কিছু বাঁধার মুখোমুখি হতেই হবে, কিন্তু সেখানে থেমে গেলে চলবেনা।এসব সাথে নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন
“অপ্রয়োজনীয় এসব বিষয় যেন জীবনে প্রভাব ফেলতে না পারে।সর্বোপরি পিতা-মাতার সাথে সুসম্পর্ক তথা বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক বজায় রাখলে জীবনের সমস্যা অর্ধেক এমনিতেই সমাধাণ হয়ে যায়।”
আমি ঘটনাচক্রে তার এক বক্তৃতা শুনে পরিচিত হই।খুব ভাল লেগেছে।তার সাফল্য কামনা করি।